এসইও কি ? কিভাবে এসইও শিখবো ? বিস্তারিত

এসইও কি ? কিভাবে এসইও শিখবো ? বিস্তারিত জানতে পারবেন আজকের আমার এই অনুচ্ছেদে। আমি এসইও সম্পর্কে এখন বিস্তারিত আলোচনা করবো।

আমরা বাঙ্গালী, স্বভাবগতই অলস প্রকৃতির। আমরা সব কিছুতেই সর্টকাট খুজি, এমন কি সফলতারও সর্টকাট খুজি। কিন্তু কি-বোর্ডের সর্টকাট এর মাধ্যমেও সফলতা সম্ভব।ইনশাআল্লাহ আমি কি-বোর্ডের সর্টকাট দিয়েই সফলতা পেয়েছি। বিশেষ ভাবে বলবো #SEO ভাল ভাবে আয়ত্ব করুন। কারন SEO ছাড়া আপনি ব্লগিংয়ে কোথাও সফল হতে পাবেন বলে আমার মনে হয় না।

SEO এমন কিছু যা সঠিক ভাবে আয়ত্ব করতে পারলে সফলতার স্বর্ণ শিখরে আরোহন করা সম্ভব। এখন চলুন এসইও বিষয়ে কিছু জেনে নেয়া যাক। এসইও ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যেটির মাধ্যমে যেকোন ওয়েব পেজ শত শত কিওয়ার্ডের জন্যে সার্চ ইঞ্জিনে টপে জায়গা নিয়ে থাকে যাকে আমরা র‌্যাংক বলে থাকি।

এসইও কি?

এসইও এর পূর্ণরূপ হচ্ছে “সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন”। সহজ কথায় আমরা যখন গুগল এ কোন কিছু লিখে সার্চ দিই, তখন গুগল কতগুলো রেজাল্ট দেখায়। সেখান থেকে আমরা আমাদের পছন্দমত লিংকে ক্লিক করে আমার কাঙ্ক্ষিত ওয়েবসাইটে ভিজিট করে আমাদের দরকারি তথ্য খুঁজে পাই। আর যেই কারণে গুগল কিংবা কোন সার্চ ইঞ্জিন ওই রেজাল্টগুলো দেখায়, সেই কারণ কিংবা পদ্ধতিকে বলা হয় সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন।

এসইও কেন দরকার ?

মনে করুন, আপনার একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট আছে যেখানে আপনি মেয়েদের থ্রি-পিস কাপড় বিক্রি করেন। এখন আপনি অবশ্যই চাইবেন যে গুগলে কেউ যখন মেয়েদের থ্রি-পিস লিখে সার্চ দিবে তখন যেন গুগলে আপনার ওয়েবসাইটকেই প্রথমে দেখায়। তাহলে আপনার ওয়েবসাইটের লিংকে ক্রেতারা এসে আপনার পণ্যটি কিনবে।

এখন এইযে পুরো প্রক্রিয়া যেটার মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটকে গুগল “মেয়েদের থ্রি-পিস” এই কিওয়ার্ডের জন্যে দেখাবে সেটাই আমরা ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভাষায় এসইও বলে থাকি।

কিভাবে এসইও শিখবো ?

কিভাবে এসইও শিখবেন তার জন্য নিচে বিস্তারিত কিছু তথ্য উল্লেখ্য করা আছে। বিষয় গুলোতে মনোযোগ দিন। তাহলে আশা করা যায় যে আপনি এসইও শিখতে পারবেন।

এসইও’র এর মৌলিক বিষয় কি কি ?

১. কম্পিটিটর এনালাইসিস:- একটি সাইটের এসইও করার জন্য কম্পিটিটর এনালাইসিস করতে হয়। কিভাবে কম্পিটিটর এনালাইসিস করবেন তা সহজ করার জন্য নিচে কিছু বিষয় উল্লেখ্য করা হলো।

  • Content Quality,
  • Content Quantity,
  • Focus Keyword,
  • LSI Keyword,
  • Backlink,
  • DA/PA etc.

২. কিওয়ার্ড রিসার্চ:- একটি ওয়েবসাইটের কিংবা কন্টেন্টের কিওয়ার্ড রিসার্চ করা ছাড়া র‌্যাংক সম্ভব নয়। তাই কিওয়ার্ড রিসার্চ অবশ্যই ভাল ভাবে করতে হবে তার জন্য নিচে কিছু বিষয় উল্লেখ্য করা হলো।

  • Keyword search volume,
  • Keyword difficulty,
  • keyword quantity,
  • LSI Keyword,
  • KGR Keyword etc.

৩. ব্যাকলিংক:- একটি ওয়েবসাইট বা ওয়েব পেজ রেংক করাতে ব্যাকলিংক এর ভূমিকা অপরিসীম। ব্যাকলিংক ছাড়া কোন সাইট টপে আসতে পারে না। কিভাবে ব্যাকলিংক করবেন তা উল্লেখ্য করা হল।

  • Anchor Text,
  • Blog Comment,
  • Forum Posting,
  • Guest Posting,
  • Profile Backlink,
  • Social Bookmarking,
  • Web 2.0 etc.

৪. ভিজিটর এনালাইটিক্স:- এসইও’ র অন্যতম অংশ হচ্ছে ভিজিটর এনালাইটিক্স । আপনি যদি ভিজিটর ভিজিটর এনালাইটিক্স করতে না পারেন তবে সাইট র‌্যাংক করাতে পারবেন না। সেক্ষেত্রে কিছু বিষয় উল্লেখ্য করা হলো।

  • Find Search Engine,
  • Detect Keyword,
  • Visitor Bounce Rate,
  • Visitor Time Spend etc.

৫. সার্চ ইন্জিন রোবোট:- আমরা সাইটে নিয়মিত কন্টেন্ট পাবলিশ করে থাকি । কিন্তু আমরা জানি না যে কন্টেন্ট গুলো আসলে গুগলের কাছে পৌছালো কিনা। তা চেক করি না। যা আসলে ইসইও’র জন্য গুরুপ্তপূণ্য ভুমিকা পালন করে থাকে। নিচে খেয়াল করুন বুঝতে পারবেন।

  • ক্রলার,
  • ইনডেক্সার,
  • স্পাইডার

৬. এসইও’র প্রকার ভেদ:- এসইও তিন প্রকার। যথা:

  • ক. ব্ল্যাক হ্যাট এসইও
  • খ. গ্রে হ্যাট এসইও
  • গ. হোয়াইট হ্যাট এসইও

ক. ব্ল্যাক হ্যাট:- অবৈধ পন্থায় সাইটে ভিজিটর নিয়ে আসাকে বলা হয় ব্ল্যাক হ্যাট এসইও। আপনি জানলে অবাক হবেন কারন, ব্ল্যাক হ্যাট টেকনিক ফলো করেও যেকোনো ওয়েবসাইটে র‌্যাংকে নিয়ে আসা সম্ভব।যদি আপনি এই ব্ল্যাক হ্যাট এসইও করে ভিজিটর আনতে চান। তাহলে আপনাকে যে কাজগুলো করতে হবে-

  • কিওয়ার্ড স্টাফিং
  • ক্লিকবেট টাইটেল
  • অজস্র ব্যাকলিং

খ. গ্রে হ্যাট এসইও:-এসইও সেক্টরে ভালো এবং খারাপের মাঝামাঝি যে নিয়ম আছে, তাকে বলা হয় গ্রে হ্যাট এসইও। বেশিরভাগ ব্লগার বা এসইও এক্সপার্টরা এই গ্রে হ্যাট এসইওকে পছন্দ করে। এখন আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, “গ্রে হ্যাট এসইও এর কোনো সাইড ইফেক্ট নেই?”হুমম, গ্রে হ্যাট টেকনিকেরও ব্যাপক সাইড ইফেক্ট রয়েছে। তবে একটা কথা আছেনা, “চুরি বিদ্যা মহাবিদ্যা, যদি না পড়ো ধরা”🙃🙃

গ. হোয়াইট হ্যাট এসইও:-এসইও এর যতো টেকনিক আছে, তার মধ্যেও সবচেয়ে Safe এবং legal হলো হোয়াইট হ্যাট এসইও। আর আপনি যখন হোয়াইট হ্যাটের সবগুলো টেকনিক সম্পর্কে বুঝতে পারবেন। তখন আপনিও নিজেকে একজন এসইও এক্সপার্ট হিসেবে দাবী করতে পারবেন।

হোয়াইট হ্যাট এসইও করবো কিভাবে:- হোয়াইট হ্যাট এসইও দুই প্রকার। যথা:

  • খ. পেইড এসইও
  • খ. অর্গানিক এসইও

ক. পেইড এসইও :- আপনি পেইড এসইও করার জন্য আগ্রহী হয়ে থাকেন। তাহলে আপনাকে বিপুল পরিমানে অর্থ ব্যয় করতে হবে। কারন গুগলে এড প্রমোট করতে হবে। যাকে আমরা ক্যাম্পেইন বলে থাকি।

নির্দিষ্ঠ একটা কিওয়ার্ড দিয়ে নির্দিষ্ঠ কোন এলাকায় এড এর মাধ্যমে সাইটে ভিজিটর নিয়ে আসাকে পেইড এসইও বলা হয়। যা প্রচুর ব্যয় বহুল হয়ে থাকে।

খ. অর্গানিক এসইও:- যখন আপনি বিভিন্ন টেকনিক অবলম্বন করে সার্চ ইঞ্জিন থেকে আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটর নিয়ে আসবেন। তখন ভিজিটর নিয়ে আসার সেই উপায়কে বলা হয় অর্গানিক এসইও। বিভিন্ন টেকনিক বা উপায় আছে যা অবলম্বন করে আমরা এসইও করে থাকি। অর্গানিক এসইও তিন প্রকার, যথা:

  • ক. অন পেজ এসইও
  • খ. অফ পেজ এসইও
  • গ. টেকনিক্যাল এসইও

ক. অন পেজ এসইও:- ওয়েবসাইটের ভিতরে যা কিছু করা হয় তাকেই অন পেজ এসইও বলা হয়। একটি ওয়েবসাইটকে বা ওয়েব পেইজ কে শুধুমাত্র অন পেইজ এসইও করে ফাস্ট পেজে রেংক করা যায় । অন পেজ এসইও মূলত এসইও’র প্রথম ধাপ। এই ধাপে আপনাকে অবশ্যই ভাল করতেহেবে। অনপেজ এসইও করার জন্য আপনাকে যে কাজগুলো করতে হবে তা হচ্ছে—

  • Title optimize,
  • Meta tag,
  • Optimise Description,
  • SEO Friendly Content,
  • Keyword research,
  • Keyword placement,
  • LSI keywords,
  • Content Longer,
  • Tag,Category,
  • Menu placement,

খ. অফ পেজ এসইও:- ওয়েবসাইটের বাইরে যা কিছু করা হয় তাকেই ব্যাকলিংক বা অফ পেজ এসইও বলা হয়। অফপেজ এসইও করার জন্য কোন টেকনিক গুলো ফলো করবেন যেমন-

  • Anchor Text,
  • Blog Comment,
  • Forum Posting,
  • Guest Posting,
  • Profile Backlink,
  • Social Bookmarking,
  • PDF Submision,
  • Audio/Video
  • Web 2.0 etc.

গ. টেকনিক্যাল এসইও:- একটি ওয়েবসাইট তৈরী থেকে শুরু করে যাবতীয় টেকনিক্যাল কার্যকম টেকনিক্যাল এসইও এর আওতায় পাড়ে। টেকনিক্যাল এসইও’র এমন কিছু বিষয় রয়েছে৷ যেগুলো টেকনিক্যাল এসইও এর আওতায় পড়ে। বিষয়গুলো হলো..

  • Sitemap,
  • Robots txt.
  • txt file upload,
  • Crawler error fixing,
  • Duplicate content,
  • 301 redirects,
  • URL structure,
  • SSL certificate,
  • Website structure &
  • User Friendly Design
  • Page Loading speed,
  • Mobile Usability etc.

এসইও টুলস কি কি ?

৭. এসইও করার টুলস:– এসইও করতে আমরা বিভিন্ন টুলের ব্যবহার করে থাকি। অনলাইনে SEO করার জন্য ২ ধরনের টুলস পাবেন যেমন-

  • ক. পেইড টুলস
  • খ. ফ্রী টুলস

ক. পেইড টুলসের কি কি:- অনেক পেউড টুলস আছে যেগুলো দিয়ে অতি সহজে কিওয়ার্ড রিসার্চ সহ এসইও’র সমস্ত সুবিধা পাওয়া যায়। যেমন:-

  • SEO Spider,
  • Ahrefs,
  • SEMrush,
  • Moz Pro,
  • KW Finder,
  • Searchmetrics,
  • Yoast SEO etc

খ. ফ্রি টুলস কি কি:- অনেক ফ্রি টুলস আছে যে গুলো ফ্রী হলেও মোটামুটি ভাল সুবিধা পাওয়া যায়। তবে ফ্রি টুলসের রিপোর্ট শতভাগ নিশ্চিত নয়। কথায় আছে “ফ্রী জিনিসের চাপ বেশী”। কিছু ফ্রী টুলস যেমন-

  • Google Analytics,
  • Google Trands,
  • Search Console,
  • Keyword Hero,
  • Screaming Frog,
  • SEOlyzer,
  • Answer The Public,
  • Keyword Planner,
  • Keyword Surfer,
  • Ubersuggest etc.

পরিশেষে বলবো যে এসইও জগতের বিভিন্ন টিপস এবং ট্রিকস পেতে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট টি ভিজিট করুন।

5 thoughts on “এসইও কি ? কিভাবে এসইও শিখবো ? বিস্তারিত”

  1. Pingback: কন্টেন্ট রাইটিং কি ? এসইও ফ্রেন্ডলি কন্টেন্ট লেখার নিয়ম ! | Freelancer Millad

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top
× How can I help you?